
Bangladesh
২০০৭ থেকে কোরআনিক চিকিৎসা এবং পরামার্শ দিয়ে আসছে
রুকিয়া
বাংলাদেশের মুসলিম কমিউনিটির চাহিদা পূরনের জন্য ২০১৭ সালে রুকিয়া এন্ড হিজামা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ কুরআন ও সুন্নাহর সত্যিকারের উৎস থেকে রুকিয়া নামে পরিচিত চিকিৎসার মাধ্যমে উপদেশ ও সহায়তা প্রদান করা। রুকিয়ার মাধ্যমে বদ নজর বা কুদৃষ্টি, হিংসা, জ্বিনের সমস্যা এবং যাদুর সংশ্লিষ্ট রোগগুলো নির্নয় বা বাতিল করা। ইনশাআল্লাহ আমাদের কাছে পাবেন সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি, নির্দেশনা ও পরামর্শ।
আবি সাঈদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেন যে, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া মুহাম্মদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (জিবরীল) বললেনঃ আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি- সে সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নযর থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি। (সহীহ মুসলিম)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মু সালামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রী উম্মু সালমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর ঘরে একটি বালিকার চেহারায় (কাল বা হলুদ) দাগ দেখে বললেন, তার নযর লেগেছে, তার জন্য ঝাড়-ফুঁক কর। (সহীহ মুসলিম)
ইসলামে রুকিয়া চিকিৎসা হচ্ছে, কোরআন মজীদ পাঠ করা, আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা এবং বিভিন্ন মসনুন দোয়ার দ্বারা রোহানি অসুস্থতার চিকিৎসার পদ্ধতি, রোগী ও ইমাম বা রাকী সবার অবশ্যই সম্পূর্ন বিশ্বস রাখতে হবে যে, উপকার ও ক্ষতি কেবল আল্লাহই করতে পারেন, নিরাময় করার মালিক একমাত্র আল্লাহ।
যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হয়ে পড়তেন তখন তিনি সূরা আল-ফালাক ও সূরা আল-নাস পড়তেন এবং নিজেই নিজের শরীরে হাত বুলিয়ে নিতেন। (সহীহ বুখারী)
হিজামা
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মি‘রাজে যাওয়ার সময় তিনি ফিরিশতাদের যে দলের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তারা বলেন, ‘আপনি অবশ্যই হিজামা করাবেন’। (তিরমিযী)
আবূ কাবশাহ আল-আনসারী বর্ণনা (রাঃ) করেন: নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মাথার মাঝখানে এবং দু’কাঁধের মাঝ বরাবর হিজামা করাতেন এবং বলতেন: যে ব্যক্তি নিজ দেহের এ অংশ থেকে হিজামা করাবে, সে তার কোন রোগের চিকিৎসা না করালেও তার কোন ক্ষতি হবে না। (ইবনে মাজাহ)
হিজামা হলো, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা এর সুন্নতি চিকিৎসা। কাপিং বা হিজামা থেরাপি একটি ঐতিহাসিক এবং অত্যান্ত কার্যকরি বিষ নাশক, যা আপনার দেহ থেকে সম্ভাব্য বিষাক্ত এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া রক্তকে বের করে দেয়। এটা দুষিত রক্তকে শরীর থেকে বের করে দেয় এবং শরীর নিজেই তা পূরন করতে পারে।
আপনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাপ প্রতিস্থাপন করে তা বায়ু শূন্য করা হয়। বায়ু শূন্যতার কারণে শূন্যস্থান পূরনের জন্য কাপগুলি আপনার মাংষপেশীকে কাপের ভিতরের দিকে টেনে ধরে সেখানে রক্ত গিয়ে জমা হয়। শরীর থেকে দুষিত রক্ত, অ্যাসিড এবং দুষিত রস বের করার জন্য চামড়ার উপর ছোট ছোট ক্ষত তেরী করা হয়।
পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে সেবা করা হয়।
পূনরুদ্ধার
একমাত্র আল্লাহর উপরই পূর্ন বিশ্বস রাখুন। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ আপনাকে বিচারের দিনে তাঁর আদেশ থেকে রক্ষা করতে পারবে না। রুকাইয়াহ্ সেন্টার শুধুমাত্র রোগ নির্নয়, সুপারিশ এবং পরামর্শ দিতে পারে। আল্লাহ হলেন নিরাময়কারী এবং তিনিই সবকিছু নিয়ন্ত্রন করেন।
কোর্স চলাকালীন সময়ে আপনি বমি বমি ভাব, ব্যাথা, জ্বালাপোড়া ও সূচ ফোটার মতো ব্যাথা অনুভূত হতে পরেন এবং এতে আপনার কোর্স চালিয়ে যেতে অনিহা আসতে পারে। ভয় পাবেন না, আপনার চিকিৎসা কাজ করছে এবং এর প্রভাব হিসাবে উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে।
Sylhet 3100













Location:
Address: Manik Pir Road, (Opposite Mazaar Gate), Sylhet 3100
Email: ruqyahandhijamah@gmail.com
Telephone: +88 0172 1414 851
Bangladesh Opening Times:
Monday: 12:00pm – 8:00pm
Tuesday: 12:00pm – 8:00pm
Wednesday: 12:00pm- 8:00pm
Thursday: 10:00 am – 6:00pm
Friday: Closed
Saturday: 10:00 am – 6:00pm
Sunday: 12:00pm – 8:00pm